শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা ঝগড়ারচর বাজারে সাধারণ মানুষকে বিনা কারণে বাইরে বেড় হতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। আর এলাকার দোকান মালিক দেরকে দোকান খুলতে না করেন। আর এই দিকে করোনা প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জন্য পুলিশ ও বিজিবিদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আল আমিন ও সানাউল মোর্শেদের নেতৃত্বে শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
তার কিছু খন পরে ঐ ঝগড়ারচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ লিটন রহমানের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী পুলিশ ও বিজিবি বাহিনী সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে, ঐ সময় বিজিবির এক সদস্য লিটনকে মারধর করেন।এর পরে ঐ মারের জের ধরেআইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে এলাকাবাসী ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ।
এই ঘটনায় পুলিশ ও বিজিবির চার সদস্য আহত হন। এই দিকে চার সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের গোপনীয় সহকারী (সিএ) মোঃ কামরুজ্জামান বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামি করে বুধবার রাতে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলাটি করেন। ওই রাতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন শ্রীবরদী উপজেলার ঝগড়ারচর বারারচর গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ জালাল রহমানের ছেলে মোঃ শহীদ রহমান(৩৫) এই দিকে পাশে প্রতি বলিদাপাড়া গ্রামের দিনমজুর
মোঃ আব্দুর রেজ্জাকের ছেলে মোঃ মিজানুর আলী (৩৭) । এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মারধরে আহত ঝগড়ারচর বাজারে কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ লিটন রহমানের ছোট ভাই।
এসব গ্রেপ্তার আসামী গতকাল বুধবার রাতে পুলিশ তাঁদের কে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
এই দিখে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করে আহত করা, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করা। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইর বাকি দুইজন কে গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।